অনার্স ভর্তি সহায়তা আবেদন ২০২৫ শুরু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। দেশের উচ্চশিক্ষায় অধ্যায়নরত অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থের অভাবে যাতে কোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হওয়ার পরেও পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়, সেই লক্ষ্যেই এই ‘ভর্তি সহায়তা’ প্রদান করা হবে।
অনার্স ভর্তি সহায়তা আবেদন ২০২৫
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্নাতক (পাস ও অনার্স) এবং সমমান শ্রেণিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আপনি কি এই বছর অনার্স বা ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছেন? আপনি কি জানেন সামান্য ভুলের কারণে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আবেদনের যোগ্যতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জটিল নিয়ম (KYC), এবং অনলাইনে ফরম পূরণের প্রতিটি ধাপ বিস্তারিত আলোচনা করব।
এক নজরে ভর্তি সহায়তা বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২৫
বিস্তারিত নির্দেশাবলি পড়ার আগে, চলুন এক নজরে দেখে নিই এই বিজ্ঞপ্তির মূল তথ্যগুলো। এই টেবিলটি আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
| তথ্যের ধরন | বিস্তারিত (Details) |
| উদ্যোগ গ্রহণকারী | প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (অন্তর্বর্তী সরকার) |
| সহায়তার নাম | স্নাতক ও সমমান ভর্তি সহায়তা (Admission Assistance) |
| শিক্ষাবর্ষ | ২০২৪-২৫ (কেবল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য) |
| আবেদন শুরু | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ |
| আবেদনের শেষ সময় | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ (রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত) |
| আবেদনের মাধ্যম | অনলাইন (ই-ভর্তিসহায়তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি) |
| ওয়েবসাইট | www.pmeat.gov.bd / shed.gov.bd |
| আর্থিক যোগ্যতা | অভিভাবকের বার্ষিক আয় ২,০০,০০০ (দুই লাখ) টাকার কম |
| কারা আবেদন করবেন? | সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা |
আবেদনের যোগ্যতা: কারা এই সহায়তা পাবেন?
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সবাই এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে হলে নিচের সুনির্দিষ্ট শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শিক্ষাবর্ষ
-
শিক্ষাবর্ষ: আপনাকে অবশ্যই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে হবে। যারা পুরাতন বর্ষের (যেমন: ২য় বা ৩য় বর্ষ), তারা এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় পড়বেন না।
-
কোর্সের ধরন: স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান/অনার্স), অথবা সমমান (যেমন: মাদ্রাসার ফাজিল) শ্রেণিতে ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত হতে হবে।
-
প্রতিষ্ঠান: দেশের যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বা মাদ্রাসা থেকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
২. পারিবারিক আয় ও অর্থনৈতিক অবস্থা
এই বৃত্তির মূল লক্ষ্য হলো ‘অসচ্ছল’ পরিবার। নির্দেশিকা অনুযায়ী:
-
শিক্ষার্থীর পিতা/মাতা/অভিভাবকের বাৎসরিক আয় ২,০০,০০০ (দুই লাখ) টাকার কম হতে হবে।
-
এর সপক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের (চেয়ারম্যান/কাউন্সিলর) সনদ আপলোড করতে হবে।
৩. সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে নিয়ম
প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত (সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান) কর্মচারীদের সন্তানরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো:
-
অভিভাবককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী হতে হবে।
-
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সন্তানরা এই সুবিধার আওতাভুক্ত নয়।
-
এক্ষেত্রে অফিস প্রধানের দেওয়া গ্রেড সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
অগ্রাধিকার পাবে যারা
সাধারণ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ কিছু ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি নিচের যেকোনো একটি গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হন, তবে প্রমাণের কাগজসহ আবেদন করলে আপনার অনুদান পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
-
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী: সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্ড বা সনদ থাকতে হবে।
-
এতিম শিক্ষার্থী: পিতা-মাতা নেই এমন শিক্ষার্থী।
-
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/প্রজন্ম: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।
-
ভূমিহীন ও দুস্থ পরিবার: যাদের নিজস্ব বসতভিটা বা জমি নেই।
-
নদীভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত: সাম্প্রতিক বন্যায় বা নদীভাঙনে যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অগ্রাধিকার কোটায় আবেদন করলে অবশ্যই সেই দাবির সপক্ষে প্রমাণপত্র (Certificate) আবশ্যিকভাবে আপলোড করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনের আগে যা প্রস্তুত রাখবেন
অনলাইনে আবেদন করতে বসার আগে নিচের কাগজপত্রগুলো স্ক্যান করে বা পরিষ্কার ছবি তুলে রেডি রাখুন। অস্পষ্ট বা ঝাপসা ডকুমেন্ট আপলোড করা যাবে না।
-
১. ছবি ও স্বাক্ষর: শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং স্ক্যান করা স্বাক্ষর।
-
২. শিক্ষাগত সনদ: সর্বশেষ উত্তীর্ণ পরীক্ষার (HSC/Alim/Diploma) সত্যায়িত নম্বরপত্র বা মার্কশিট। (এটি আবশ্যিক)।
-
৩. আয়ের সনদ (Income Certificate):
-
সাধারণদের জন্য: ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দেওয়া বাৎসরিক আয়ের সনদ।
-
১৩-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য: অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত বেতনের গ্রেড ও আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
-
-
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ/প্রত্যয়ন: ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করে বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর ও সিলসহ আপলোড করতে হবে।
-
৫. ব্যাংকের তথ্য: চেক বইয়ের পাতা অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট (KYC বা সচল থাকার প্রমাণসহ)।
-
৬. ভর্তির প্রমাণ: বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আছেন, তার ভর্তির রসিদ বা আইডি কার্ডের কপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে)।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং: টাকা পাওয়ার নিয়ম
টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জটিলতা হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবারের নিয়মগুলো খুবই কড়াকড়ি। ভুল করলে টাকা আসবে না।
১. কার অ্যাকাউন্ট হতে হবে?
-
সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রির ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থী নিজের অথবা পিতা/মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর (বিকাশ/নগদ/রকেট) ব্যবহার করতে হবে।
-
ভাই, বোন, দোকানদার বা বন্ধুর নম্বর ব্যবহার করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
ব্যতিক্রম: পিতা-মাতা উভয়েই মৃত হলে আইনগত অভিভাবকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে।
২. অ্যাকাউন্টের প্রমাণক (Proof of Account)
অনলাইনে আবেদনের সময় আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে যে অ্যাকাউন্টটি সচল এবং সঠিক।
-
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: চেকের ভেতরের পাতার ছবি বা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি আপলোড করতে হবে।
-
মোবাইল ব্যাংকিং (MFS): অ্যাকাউন্টটি যে সচল আছে এবং এটি যে আপনার বা আপনার বাবার/মায়ের, তার প্রমাণ হিসেবে KYC Update বা অ্যাপের প্রোফাইল স্ক্রিনশট বা অ্যাকাউন্ট সচল থাকার তথ্যের স্পষ্ট হার্ডকপি আপলোড করতে হবে।
আবেদন করার ধাপে ধাপে নিয়ম (Step-by-Step Guide)
অনার্স ভর্তি সহায়তা আবেদন ২০২৫ সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। কোনো হার্ডকপি ডাকযোগে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
ধাপ ১: রেজিস্ট্রেশন ও লগইন
প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করুন। ‘নিবন্ধন’ বা ‘Registration’ অপশনে গিয়ে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন/এনআইডি এবং সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ২: প্রত্যয়নপত্র ডাউনলোড
লগইন করার পর ড্যাশবোর্ডে ‘ভর্তিসহায়তা সেবা বক্স’ পাবেন। সেখান থেকে ‘নির্ধারিত প্রত্যয়ন ফরম’ ডাউনলোড করুন। এটি প্রিন্ট করে আপনার কলেজের বিভাগীয় প্রধান বা অধ্যক্ষের কাছ থেকে স্বাক্ষর ও সিল নিয়ে আসুন। এটি পরে আপলোড করতে হবে।
ধাপ ৩: তথ্য পূরণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন
আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য দিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের অপশনে আপনার বর্তমান কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করুন।
জরুরি সমস্যা ও সমাধান (কলেজ খুঁজে না পেলে): অনলাইনে আবেদনের সময় ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন’ অপশনে যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম না পান, তবে ঘাবড়াবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে (Principal) প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে EIIN নম্বর ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। আপনি অবিলম্বে আপনার কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে তারা ট্রাস্টের সফটওয়্যারে প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়। ঠিকানা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাড়ি-৪৪, সড়ক-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।
ধাপ ৪: ডকুমেন্ট আপলোড
ছবি, স্বাক্ষর, সত্যায়িত মার্কশিট, আয়ের সনদ, সুপারিশনামা এবং ব্যাংক প্রুফ স্ক্যান করে আপলোড করুন। ফাইল সাইজ যেন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করুন।
ধাপ ৫: সাবমিশন
সব তথ্য ভালো করে যাচাই করে ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করুন। সফলভাবে সাবমিট হলে একটি নিশ্চিতকরণ কপি বা ‘Application Copy’ পাবেন। এটি প্রিন্ট করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. আমি কি আবেদন ফর্ম প্রিন্ট করে ঢাকায় পাঠাতে পারব? উত্তর: না। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। আবেদনের কোনো হার্ডকপি প্রেরণের প্রয়োজন নেই।
২. সত্যায়িত মার্কশিট কি আবশ্যিক? উত্তর: হ্যাঁ। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ উত্তীর্ণ পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্রের স্পষ্ট কপি আবশ্যিকভাবে আপলোড করতে হবে।
৩. আমার বাবার সরকারি চাকরি, কিন্তু ২০তম গ্রেড। আমি কি পাব? উত্তর: হ্যাঁ, ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানরা আবেদনের যোগ্য। তবে আপনাকে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন দিতে হবে।
৪. আবেদনের শেষ তারিখ কবে? উত্তর: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত)।
সুযোগ হাতছাড়া করবেন না
অনার্স ভর্তি সহায়তা আবেদন ২০২৫ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আশীর্বাদ। অন্তর্বর্তী সরকারের এই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মেধাবীরাই উপকৃত হবেন। আপনি যদি যোগ্য প্রার্থী হন, তবে শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে আজই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (বিশেষ করে প্রত্যয়নপত্র এবং ব্যাংকের কেওয়াইসি) প্রস্তুত করুন।
মনে রাখবেন, একটি অসম্পূর্ণ বা ভুল আবেদন আপনার অনুদান পাওয়ার সুযোগ নষ্ট করতে পারে। তাই সতর্কতার সাথে, সঠিক তথ্য দিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করুন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের সেরা ৫টি হাই-পেইড রিমোট জব: ঘরে বসেই ডলার আয়ের সুযোগ ও কমপ্লিট গাইডলাইন



